দেওয়াল যেন ক্যানভাস

ঘরের চার দেওয়াল কি কেবল সাপোর্টের জন্য? না একদমই না! দেওয়াল হলো সেই খালি পাতা, যেখানে আপনি আপনার গল্প লিখতে পারেন—রঙে, ছবিতে, কিংবা অদ্ভুত সব সাজে।

শুরু করুন রঙের খেলায়। শুধু সাদা বা ক্রিম রঙে আটকে না থেকে একটা দেওয়াল বেছে নিন ‘অ্যাকসেন্ট ওয়াল’ হিসেবে। উজ্জ্বল হলুদ, গভীর নীল, এমনকি ইটের মতো টেক্সচার—যেটা আপনার মনের সঙ্গে মেলে। এতে ঘর পাবে আলাদা ব্যক্তিত্ব।

আর যদি রঙ না লাগাতে চান, তবে আনুন ওয়াল আর্ট। ফ্রেমে বাঁধানো ট্রাভেল ফটোগ্রাফ, পুরোনো সাদা-কালো ছবি, কিংবা নিজের আঁকা পোস্টার—সবই দেওয়ালে জীবন্ত হয়ে উঠবে। চাইলে এক দেওয়ালে তৈরি করতে পারেন ‘ফটো গ্যালারি কর্নার’, যেখানে অতিথিরা দাঁড়িয়ে গল্প করবে।

যারা একটু এক্সপেরিমেন্টাল, তারা ওয়াল হ্যাঙ্গিংস, বোনা ট্যাপেস্ট্রি বা মেটাল স্কাল্পচার দিয়ে সাজাতে পারেন। এইসব টেক্সচার ঘরে আনে উষ্ণতা আর গভীরতা, যা শুধু পেইন্ট দিয়ে পাওয়া যায় না।

সবশেষে, আলো দিতে ভুলবেন না। দেওয়ালে লাগানো ওয়াল ল্যাম্প বা ছোট্ট স্পটলাইট আপনার আর্টকেই করবে শো-স্টপার। মনে রাখবেন, দেওয়াল হলো আপনার মনের আয়না—যতটা সৃজনশীল হবেন, ততটাই সেটা ঝলমল করে উঠবে।

Comments

Post a Comment

Popular posts from this blog

নতুন ঘর, পুরোনো আসবাব

জানালায় সাজের ছোঁয়া

সবুজে ঘেরা ঘর